HF (High Frequency) রেডিও বলতে আমরা সাধারণত 3 MHz থেকে 30 MHz পর্যন্ত ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড বুঝি। এটি অপেশাদার রেডিও, সামরিক, বাণিজ্যিক, নৌবাহিনী, বিমান চলাচল, দূরবর্তী যোগাযোগ, এমনকি জরুরি পরিস্থিতিতেও ব্যবহৃত হয়। HF রেডিওর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো—এটি আইওনোস্ফিয়ার প্রতিফলন ব্যবহার করে হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারে।
HF ব্যান্ডের মূল বৈশিষ্ট্য
- দূরপাল্লার যোগাযোগ:
- HF সিগন্যাল Skywave propagation (আকাশপথে প্রতিফলন) ব্যবহার করে মহাদেশ অতিক্রম করতে পারে।
- কম পাওয়ারেও দীর্ঘ যোগাযোগ:
- ৫ থেকে ১০০ ওয়াট পাওয়ারে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ সম্ভব।
- বিভিন্ন ব্যান্ডে কাজের সুযোগ:
- 80m (3.5 MHz)
- 40m (7 MHz)
- 20m (14 MHz)
- 15m (21 MHz)
- 10m (28 MHz)
- প্রতিটি ব্যান্ডের নিজস্ব প্রোপাগেশন বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
HF রেডিওর প্রকারভেদ
- বেস স্টেশন HF রেডিও:
- বড় অ্যান্টেনা ও উচ্চ ক্ষমতার (100W+) ট্রান্সসিভার।
- পোর্টেবল HF রেডিও:
- QRP (Low Power) সেটআপ, ব্যাকপ্যাকিং ও জরুরি যোগাযোগের জন্য উপযোগী।
- মোবাইল HF রেডিও:
- যানবাহনে ইনস্টল করে চলমান অবস্থায় যোগাযোগ।
যোগাযোগের পদ্ধতি
- SSB (Single Side Band): ভয়েস কমিউনিকেশনের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়।
- CW (Morse Code): কম পাওয়ারেও কার্যকর।
- Digital Modes: FT8, PSK31, RTTY ইত্যাদি, যা কম ব্যান্ডউইথে উচ্চ কার্যকারিতা দেয়।
প্রোপাগেশন এবং সময় নির্বাচন
HF যোগাযোগ অনেকটাই নির্ভর করে:
- দিন ও রাতের সময়:
- দিনের বেলায় উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি (20m, 15m, 10m) ভালো কাজ করে।
- রাতের বেলায় নিম্ন ফ্রিকোয়েন্সি (80m, 40m) ভালো কাজ করে।
- সৌর কার্যকলাপ ও সানস্পট সাইকেল:
- সৌর কার্যকলাপ বেশি হলে HF প্রোপাগেশন উন্নত হয়।
অ্যান্টেনা
HF এর জন্য বড় আকারের অ্যান্টেনা প্রয়োজন, যেমন:
- Dipole
- Vertical
- Yagi
- End-Fed Wire
- প্রতিটি অ্যান্টেনার ব্যান্ড কভারেজ ও পারফরম্যান্স আলাদা।
Bangladesh-এ HF রেডিওর গুরুত্ব
বাংলাদেশে HF রেডিও জরুরি যোগাযোগ, DXing (দূরবর্তী যোগাযোগ), এবং আন্তর্জাতিক অ্যামেচার রেডিও কন্টেস্টে ব্যবহৃত হয়। সাইক্লোন, বন্যা বা দুর্যোগের সময় HF রেডিও দূরবর্তী এলাকায় জরুরি তথ্য পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।